নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের তিন নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কূপের তিনটি জোনে গ্যাস পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে বাপেক্স। বাপেক্স বলছে, প্রাথমিকভাবে কূপটির তিনটি জোনে গ্যাসের অস্তিত্ব মিলেছে।এখন কূপটিতে চলছে ডিএসটি টেস্ট। এটি শেষ হলে জানা যাবে এখানে কী পরিমাণ গ্যাস মজুত আছে।

গতকাল শনিবার (৯ই মার্চ) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপটির সর্বনিম্ন স্তরে বা লোয়ার জোনে আগুন জ্বালানো হয়। গত ফেব্রুয়ারিতে গ্যাসপ্রাপ্তির কথা প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন বাপেক্স এর প্রকল্প পরিচালক প্রিন্স মো. আল হেলাল। গত বছরের নভেম্বরে শুরু হওয়া কূপ খননের কাজ শেষ হয় গত শুক্রবার।

কূপটির মোট তিন হাজার ৩৮৫ মিটার গভীরে খনন করা হয়েছে। যার মধ্যে লোয়ার জোনের ৩০৪১ মিটার থেকে ৩০৪৬ মিটার এবং ৩০৫৭ মিটার থেকে ৩০৬৪ মিটার পর্যন্ত টেস্ট কার্যক্রম চলছে। বাপেক্সের চরকাঁকড়া ৩ নম্বর কূপের ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “এই কূপ থেকে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা যেতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে লোয়ার জোনে গ্যাসের চাপ দেখে মনে হচ্ছে, এই কূপ থেকে আরও বেশি পরিমাণ গ্যাসও পাওয়া যেতে পারে।”

উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বরের শুরুতে এই গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের খননকাজ শুরু করে বাপেক্স। এর আগে ২০১৩ সালের ৮ জানুয়ারি শাহাজাদপুর-সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রটির ১ নম্বর কূপ উৎপাদনের যাওয়ার পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ২ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু করা হয়।